হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মোট আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপের প্রমাণ মেলেনি।
দেশটির সেনাবাহিনীর প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ একথা জানিয়েছে।
গত রোববার ইরানের উত্তরাঞ্চলে আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহত হন। তার সঙ্গে একই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান ও ক্রুসহ আরও ছয় আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় সবার মৃত্যু হয়।
রাইসিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ফলে তার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর হিসাব অনেকের কাছে মিলছে না।
তবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রকাশ করা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি উঁচু স্থানে আঘাত লেগে হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে যায়। হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষে কোথাও গুলির গর্তের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোববার হেলিপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সেটি পূর্বনির্ধারিত রুটেই উড়ছিল। হেলিকপ্টারটি নির্ধারিত রুট ছেড়ে বাইরে যায়নি। ওয়াচ টাওয়ার ও ফ্লাইট ক্রুদের মধ্যে যোগাযোগের সময় কোনো সন্দেহজনক বিষয়ও পরিলক্ষিত হয়নি। হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় পড়ার দেড় মিনিট আগে সঙ্গে থাকা আরও দুটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে এটির যোগাযোগ হয়।
তদন্ত আরও এগিয়ে যাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান শেষ করতে আরও সময় প্রয়োজন।
মৃত্যুর চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাইসিকে শিয়া মুসলিমদের পবিত্র শহর মাশহাদে কবর দেয়া হয়।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরানের বিমান বহরের বেশ কয়েকটি আকাশযানই ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ধরে তারা পশ্চিমা দেশগুলো থেকে কোনো নতুন আকাশযান বা খুচরা যন্ত্রাংশ কিনতে পারছে না, ফলে বহরের আধুনিকায়নও করা যাচ্ছে না।
http://dlvr.it/T7NZf4
0 Comments