Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

হাতিয়ায় পানিবন্দি হাজারও মানুষ, বিদ্যুৎ নেই

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নয়টি গ্রামসহ ১৪টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, বেগমগঞ্জ ও সেনবাগে অতিবর্ষণ আর ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছপালা।
জানা যায়, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে জেলা সদর ও ৯টি উপজেলায় ৮ লাখ ৬৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবি) অধীনে এক লাখ ৭ হাজার এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে ৭ লাখ ৫৯ হাজার গ্রাহক রয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুৎ নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৯টি উপজেলায় ২২৮টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ৩২টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ৬ শতাধিক গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। এর ফলে ৫০ শতাংশের বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। বিদ্যুৎকর্মীরা এসব লাইন মেরামত ও খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেছেন।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নয়টিগ্রাম সহ ১৪টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও বাজারগুলো এখনও পানির নিচে।
রোববার (২৬ মে) দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। জোয়ারের প্রভাবে হাতিয়ায় নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেড়ে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ।
প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হলো- নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের মোল্লা গ্রাম, মুন্সি গ্রাম, আদর্শ গ্রাম, বান্দাখালী গ্রাম, ডুবাইয়ের খাল গ্রাম, ইসলামপুর গ্রাম, আনন্দগুচ্ছ গ্রাম, বাতায়ন গ্রাম, বসুন্ধরা গ্রাম ও ধানসিঁড়ি গ্রাম, পূর্বাচল গ্রাম, হরণী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া, বয়ারচর গ্রাম, নলচিরা ইউনিয়নের তুফানিয়া গ্রাম ও তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম তমরদ্দি গ্রাম।
স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমান বলেন, টানা বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে পুরো উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িগুলোতে।


http://dlvr.it/T7ScJf

Post a Comment

0 Comments