ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে নৃশংসভাবে হত্যার খবরে স্তব্ধ কালীগঞ্জ। তার মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় স্থানী জনমনে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে।
আওয়ামী লীগ দলীয় এই সংসদ সদস্য হত্যার প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলনসহ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে এমপি আনারের বাসভবন ও পাশেই দলীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবারও সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ভিড় জমান। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুপুর ১২টার পর ভূষণ রোডের দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা, দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
পতাকা উত্তোলনকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ।
পতাকা উত্তোলনকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন, মতিয়ার রহমান মতি, ওহিদুজ্জামান ওদু ও মোস্তাফিজুর রহমান বিজুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আনারকে যারা হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানাই, আমাদের এমপির মরদেহ দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করুন।
এমপি আনার আওয়ামী লীগ মনোনীত টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দলীয়ভাবে শনিবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভা আহ্বান করে আনার হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমপি আনার হত্যার খবর জানা গেলেও মরদেহ উদ্ধার না হওয়ায় উপজেলার মানুষের মধ্যে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই এমপির শহরের বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। তাদের অনেকেরই প্রশ্ন- এমপিকে হত্যার শিকার হয়ে থাকলে তার মরদেহ কোথায়?
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, এমপি আনার নিখোঁজ হওয়ার উল্লেখ করে তার সেজো ভাই এনামুল হক ইমান ১৯ মে কালীগঞ্জ থানায় একটি ডিডি করেন। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানিয়েছি। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন সংস্থাগুলো পর্যবেক্ষণ করছে, যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার প্রধান হারুন অর রশীদ বৃহস্পতিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরেন। ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে তিনি এই বর্ণনা দেন।
ডিএমপি ডিবি প্রধান বলেন, মরদেহ পাওয়ার আশা খুবই কম। কেননা হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। পরে তা কয়েক কিস্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়। তারপরও চেষ্টা করছি এমপি আনারের দেহের অংশবিশেষ উদ্ধারের।
http://dlvr.it/T7HhNM
0 Comments