ময়মনসিংহে সেতুর নিচ থেকে দুই পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম ওমর ফারুক সৌরভ। ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামে।
রোববার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বিকেলে নিহতের মামা পরিচয়ে এক ব্যক্তি থানায় এসে জানিয়েছেন যে হত্যার শিকার এই তরুণের নাম ওমর ফারুক সৌরভ। তিনি ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অবশ্য আরেক সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে, সৌরব ঢাকার গুলশানে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সুতিয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ((ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, সুতিয়া নদীর ওপর সেতুর নিচে একটি কালো রঙের ট্রলি ব্যাগ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ট্রলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের মাথা ও দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আলাদা পলিথিনে মোড়ানো ছিল। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
ফারুক হোসেন জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
http://dlvr.it/T7kfY6
0 Comments