Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

সংবাদ প্রকাশের জেরে গাইবান্ধার তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে (ডিবি রোডে) দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন জেলার সাংবাদিকরা।
মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারী সাংবাদিকরা শহরের এক নম্বর ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করেন এবং রাস্তায় শুয়ে অবস্থান নেন। এতে রাস্তার উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে, দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দৈনিক নবজীবন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মেহেদী বাবুর সঞ্চালনায় মানবন্ধনের শুরুতেই সংবাদ ও মামলা হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আনন্দ টিভির গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি মিলন খন্দকার। পরে অভিযুক্ত দৈনিক বার্তা বাজারের জেলা প্রতিনিধি সুমন মিয়া ও দৈনিক নাগরিক ভাবনার জেলা প্রতিনিধি রিওন ইসলাম রকিও বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ঘটনা তুলে ধরে বক্তরা বলেন, সদর উপজেলার কামারজানির যমুনা নদীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন থেকে নদী থেকে বালু তুলে অবাধে বিক্রি করে আসছিল। এতে ওই এলাকার ফসলি জমি, বাঁধঘেঁষা ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, বসতবাড়ি, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে। এসব ঘটনা তুলে ধরে চক্রটির বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আনন্দ টিভিতে প্রতিবেদন প্রচার হয়। সেইসঙ্গে প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
খবর প্রকাশের পর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কামারজানি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে চক্রটির সদস্য রানা ও সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ ১২ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কয়েক দফায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত অন্তত ১৫টি গাড়ী জব্দ করেন।
এসব ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ মার্চ সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সাংবাদিক মিলন খন্দকার, সুমন ও রকির বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তুলে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রায় এক মাস পর গত ২৪ এপ্রিল থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।
এ সময় বক্তারা নিন্দা জানিয়ে বলেন, অভিযোগ দায়েরের প্রায় দুই মাস পর থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হলো। এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার পেছনে গাইবান্ধার ৭ সাংবাদিকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদ রয়েছে, যা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করতে থানায় ফোন দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বক্তরা। একইসঙ্গে অবিলম্বে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আহ্বান জানান তারা।
কর্মসূচিতে জেলার ফুলছড়ি, সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতারাসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


http://dlvr.it/T7mXBh

Post a Comment

0 Comments