ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানা ও পুলিশের স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ, হামলার ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার রোষানলের শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। লুটে নেয়া হয় অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন জিনসিপত্র। সহিংসতা থেকে জীবন বাঁচাতে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে চলে যান।
লুটে নেয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৫৩৪টি অস্ত্র ও ১০ হাজার ২১৯টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কর্মবিরতির পরে সারাদেশে ৬৩৯টি থানার সবগুলোর সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, সারাদেশ থেকে সম্প্রতি লুণ্ঠিত বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মধ্যে ৫৩৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার ২১৯ রাউন্ড গুলি, ৩৫৯টি টিয়ার গ্যাস সেল এবং ১৪২টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, পুলিশের বিভিন্ন থানা ও স্থাপনা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। কারও কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলে নিকটস্থ থানায় জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া সারাদেশে ৬৩৯টি থানার সবগুলোর সেবা কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মেট্রোপলিটনের ১১০টি ও জেলার ৫২৯টি থানা রয়েছে। এছাড়া রেলওয়ে পুলিশের ২৪টি থানার অপারেশনাল কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পুলিশের চেইন অফ কমান্ড ভেঙে পড়ে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের থানা ও বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
সরকার পতনের পর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ছাত্র-জনতার রোষের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) পুলিশের অধিকাংশ সুবিধাবাদী কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন (রিফর্ম) ও সংস্কার করার কথা বলা হয় সব মহল থেকে।
এর মধ্যে পুলিশে ব্যাপক রদবদলসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরাতে উদ্যোগ নেন নতুন আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
http://dlvr.it/TBxqwt
0 Comments