জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়ে রোববার কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এ কর্মবিরতির ফলে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগীকে দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে।
সকালে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের ১ নম্বর কক্ষের মেডিক্যাল অফিসাররা তাদের কক্ষ বন্ধ করে দেন। জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার ও বন্ধ করে দেন।
পরে ধীরে ধীরে ঢাকা মেডিক্যালের সামনে ভিড় বাড়তে থাকে রোগীদের। চিকিৎসক না পেয়ে হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে চলে যেতে দেখা যায় অধিকাংশ রোগীকে।
মুন্সীগঞ্জ থেকে আহত জুম্মন মিয়াকে নিয়ে আসা রুবেল বলেন, আমার মামা হঠাৎ বুকে ব্যথার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে ডাক্তারদের কর্মবিরতি দেখে রোগী নিয়ে হার্ট ফাউন্ডেশন নিয়ে যাচ্ছি।
ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে জয়নাল আবেদীনকে নিয়ে আসা তার ভাই মোহাম্মদ বাবর আলী বলেন, আজ সকালে ছাদে হাঁটাহাঁটি করার সময় আমার ভাই তৃতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে ডাক্তারের কর্মবিরতি দেখে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।
চিকিৎসার অবহেলায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে শনিবার ঢামেক হাসপাতালে এক চিকিৎসককে মারধর করা হয়।
গতকাল রাত একটার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবককে নিয়ে হাসপাতালে আসেন চার যুবক। তাদের হাতে ধারালো চাপাতি ও তালোয়ার ছিল। তারা জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সিতে চিকিৎসকদের মারধর করেন এবং সব জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালান। এরই জেরে আজ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, সকাল আটটা থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করে আসার পর থেকে শত শত রোগী দুর্ভোগে পড়েছেন। অধিকাংশ রোগী হাসপাতালের ভেতর শুয়ে আছে চিকিৎসার অপেক্ষায়। অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে চলে গেছেন।
http://dlvr.it/TCdzlx
0 Comments