Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কানের দুলের জন্য শিশু তাহমিনাকে হত্যা, অভিযোগ পরিবারের

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপের ডাংগরপাড়া গ্রাম থেকে শনিবার রাতে সাত বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শিশুটি শনিবার সকাল ৯টা থেকে নিখোঁজ ছিল।
মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, শিশুটির কানে থাকা দুই আনার স্বর্ণের দুল নিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রাণ হারানো তাহমিনা আক্তার (৮) পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. জলিলের মেয়ে। তার মরহে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রাত আটটার দিকে ডাংগরপাড়ার লালুর দোকান ও বাক্কুর বাড়ির রাস্তার ওপর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাহমিনা আক্তার শনিবার সকালে স্থানীয় এরশাদুল কোরআন ফোরকানিয়া মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরবর্তী সময়ে রাত আটটার দিকে ডাঙ্গরপাড়া রাস্তার ওপরে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
শাহপরীরদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জানান, শনিবার রাতে শাহপরীরদ্বীপের ডাংগরপাড়ার লালু ও বাক্কু দোকান সংলগ্ন রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
স্থানীয় কয়েকজন যুবক জানান, শাহপরীরদ্বীপের যে জায়গায় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে, সে জায়গাটি মাদকের আড্ডাখানা। সেখানে সবসময় মাদকসেবীদের আসা-যাওয়া করেন।
তাদের একজন বলেন, আমাদের ধারণা এ হত্যা মাদকাসক্ত যুবকদের কাজ। এ শিশুটির হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা কোনো না কোনোভাবে মাদকসেবী।
সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। সামান্য কানের দুলের লালসার শিকার হয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়।
শিশুর বাবা বাবা মো. জলিলের অভিযোগ, কানে থাকা স্বর্ণের দুলের জন্য তার একমাত্র মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর মরদেহ বস্তা ভরে রাখা হয়।
এ হত্যার বিচার চেয়ে তিনি বলেন, আমার কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। আর কারও সঙ্গে ঝগড়াও নেই। কেন এমনভাবে আমার মেয়েকে হত্যা?
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাহমিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির কানে স্বর্ণের দুল ছিল বলে জানা গেছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন নুর হাফেজ ও আল কামাল।


http://dlvr.it/TDXSQ9

Post a Comment

0 Comments