সরকারি কর্মচারীরা সম্পদের হিসাব না দিলে আইনানুগ খবর আছে বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, সম্পদের হিসাব নেয়ার প্রক্রিয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সোমবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনপ্রশাসন সচিব জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটিতে এনবিআরের একজন প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগের একজন প্রতিনিধি, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের একজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন।
এ কমিটি একটি সহজ ফরম তৈরি, জমা দেয়ার সময় ও পদ্ধতি নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্পদের হিসাব জমা না দিলে কী দণ্ড হবে, তার বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত দেবে। জমা না দিলে খবর আছে, সোজা কথা। আইনানুগ খবর আছে। খবরটা কী সেটা যখন চিঠি (ফরম) দেব, তখন বলে দেব।
গড়ে ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী রয়েছেন জানিয়ে সচিব বলেন, মডার্ন ও আপডেটেড ওয়েতে যাতে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে পারে, সে জন্যই কাজটা শুরু করেছি। সবাইকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
জিরো সম্পদ থাকলেও হিসাব দিতে হবে। শুধু ব্যাংক হিসাব না, জমিজমা, সঞ্চয়পত্র কোথায় কী আছে, সব হিসাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখন সম্পত্তির হিসাব দিতে পাঁচ রকমের ফরম রয়েছে। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে ফরম্যাট রেডি করবে, যাতে মানুষের প্রশ্ন করতে না হয়, বুঝতে সমস্যা না হয়। ফরমটি হবে বাংলায়। এটি এক পাতার মধ্যে থাকবে। স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পত্তি- এভাবে ফরমে থাকবে। এরপর আমরা বলে দেব সব মন্ত্রণালয় এবং বিভাগে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে সম্পদের হিসাব জমা দেবে।
মূলত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এটি ফাংশনাল হবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা ফরমগুলো অফিসে অফিসে পৌঁছে দেব। আমরা তখন বলে দেব কোন তারিখের মধ্যে হিসাব দাখিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্পদের হিসাব বছরে একবার দিতে হবে। হয় পহেলা জানুয়ারি না হয় পহেলা জুলাই সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, এই উদ্যোগ (সম্পদের হিসাব) নেয়ার কারণে এরই মধ্যে অনেকের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন, এতদিন দেওয়া লাগেনি কিংবা নামে একটা দিতাম, খবর নাই। এবার এটা কাজ করবে। দুদক যেহেতু এটা অফিসিয়ালি হ্যান্ডেল করে, তারা এটা বিবেচনা করবে যে কার সম্পদ বিবরণীর জন্য কাকে তলব করতে হবে।
ডিসিদের ফিট লিস্ট প্রণয়নের কাজ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে জায়গাগুলো (২৫ জেলা) থেকে ডিসিদের প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেখানে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে ডিসি পদায়ন করা হবে।
উপদেষ্টাদের হিসাব দিতে হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি বলেন, এ টু জেড হিসাব দিতে হবে। আমাকে দিয়ে শুরু হবে। সরকারি বেতন খায় এমন সবাইকে হিসাব দিতে হবে।
http://dlvr.it/TChrmY
0 Comments