সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সচিব মোখলেস উর রহমান।
ডিসি পদায়নে তিন কোটি টাকার লেনদেনে চেক হস্তান্তর নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চেকটিকেও ভুয়া বলে দাবি করেছেন মন্ত্রণালয়টির সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।
সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সচিব মোখলেস উর রহমান এমনটা দাবি করে বলেন, বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন! শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর সূত্র ধরে পরদিন সব জাতীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে। এতে অস্বস্তিতে পড়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনটি হাতে পাওয়ার পর এর তথ্য জানাতেই সোমবার ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ওই চেকটিকে ভুয়া উল্লেখ করে দাবি করেন, ভুয়া একটি বিষয়কে জাতীয় পর্যায়ে এনে মানুষকে বিব্রত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনে আসা ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করে সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ওই ব্যক্তি পদ্মা ব্যাংকে একটি ভুয়া হিসাব খুলেছিলেন। নির্ধারিত ফরম পূরণ না করেই এই হিসাব খোলা হয়েছিল। ২০২৩ সালে দুই হাজার টাকা দিয়ে হিসাবটি খোলেন। তদন্তের সময় এ হিসাবে ব্যালেন্স ছিল শূন্য। তাতে যে ঠিকানা ছিল, সেই ঠিকানায় এই ব্যবসায়ী থাকেন না। তার মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
সচিব বলেন, যে লোক তিন কোটি টাকার চেক দিতে পারেন, তিনি এত হালকা লোক হবেন? এতেই বোঝেন! এককথায় বলি, ভুয়া একটি বিষয়কে জাতীয় পর্যায়ে এনে মানুষকে বিব্রত করা হয়েছে। এতে কেউ ছোট হয় না। দিন শেষে যারা এটি করেছেন তারাই ছোট হন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটির কড়া সমালোচনা করে সচিব মন্তব্য করেন, কোনো সূত্র ছাড়াই বড় ধরনের এ গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমার প্রশ্ন- এ ধরনের প্রতিবেদন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করে কী লাভ?
ওই ব্যবসায়ীর প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এ ধরনের একজন ভুয়া লোক এত বড় একটি ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে আছেন, সে ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে তথ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হবে।
http://dlvr.it/TDrP8t
0 Comments