মাগুরায় এই প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ। এ সবজি চাষে জেলার কৃষকদেরও আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।
জেলার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে কৃষক আসাদুজ্জামান বিদেশি এ সবজি স্কোয়াশ চাষ করে পেয়েছেন সাফল্য।
তিনি জানান, মালচিং পদ্ধতিতে প্রথমে জমিতে বেড তৈরি করে চাষ করছেন স্কোয়াশ। পরিশ্রম কম, কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষে এলাকার অনেক কৃষক এ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, স্কোয়াশ সবজি বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো চাষ হচ্ছে। এটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ভালো হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে এটি দেশের বাইরে বেশি পরিচিত। এ সবজিটি লম্বাটে আকৃতির, অনেকটা আমাদের দেশের লাউ কিংবা শসার মতো। কাঁচা অবস্থায় দেখতে গাঢ় সবুজ রঙের হয়, আর ভেতরে মিষ্টি কুমড়ার মতো। খেতে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি সবজি স্কোয়াশ।
কথা হয় মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের কৃষক আসাদুজ্জামানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এই প্রথমবারের মতো আমি মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। এ চাষে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমি প্রশিক্ষণ নেই। তার পর এ চাষে মনোনিবেশ করি। স্কোয়াশ সবজিটি একটি বিদেশি সবজি।
নভেম্বরের শুরুতে জমিতে বীজ রোপণ করি। ডিসেম্বর মাসের প্রথমে গাছে ফল আসা শুরু হয়। আমার ক্ষেতে এবার ৪২০টি স্কোয়াশ গাছের চারা হয়েছে। আমাদেরও দেশের লাউ খেতে যেমন সুস্বাসু তেমনি স্কোয়াশও খেতে তেমনি সুস্বাদু।
এ বছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার স্কোয়াশ সবজি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন কৃষক আসাদুজ্জামান। এ চাষে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস তাকে সর্বাত্মক পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে।
একই এলাকার অন্য চাষি সেলিম বলেন, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সার্বিক পরামর্শে আমি এবারই প্রথম স্কোয়াশ চাষ করেছি ১০ শতাংশ জমিতে।
একটি স্কোয়াশ গাছে ছয় থেকে সাতটি ফল ধরে। এক একটির ওজন হয় প্রায় এক কেজি থেকে সোয়া কেজি।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার সালমা জামান নিপা বলেন, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এ চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এটি একটি নিরাপদ, সুস্বাদু সবজি। এ সবজির আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়ায়।
তা ছাড়া এ সবজিটি আমাদের দেশের চরাঞ্চলে বেশি চাষ হয়। শ্রীপুর উপজেলা ছাড়াও আমরা জেলার অন্য উপজেলায় এ চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।
http://dlvr.it/T0ZVC3
0 Comments