ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকে থেমে বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকা বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়ায় জেলার শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী মানুষের মাঝে দেয়া দিয়েছে আতঙ্ক।
এমন অবস্থায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া রিমালের প্রভাবে জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রেডেক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবিরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্র নিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বাগেরহাটে দুপুর থেকেই বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া। জেলার সকল নদ-নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধির ফলে শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা, বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নঞ্চল ৫ থেকে ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি নদী তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে গুলোতে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ৩ হাজার ৫শ ৫ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে ১০টি কন্টোল রুম।
তিনি বলেন, ৬৪৩ টন চাল ও ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেরিবাধ এলাকায় গুলো বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
http://dlvr.it/T7QLmP
0 Comments